কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক মল্লিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক ও তার সহযোগী মো. ওসমান শেখ ইউনিয়নের সবগুলো ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড, মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড, ও সরকারী ঘড় পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৪-৫ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এইসব হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যে মেলেনি কার্ড। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাজ্জাক মেম্বারের প্রতারণার কথা বলেন।
এদিকে একই অভিযোগ শহিদুল খাঁ তিনি বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে ওসমান দর্জিকে দুই হাজার ও রাজ্জাক মেম্বারকে দুই হাজার টাকা দিয়েছি কিন্তু এখনও আমার কার্ড হয়নি। মেম্বারের কাছে কার্ডের কথা বললে মেম্বার বলেন সময় মত হবে ধৈর্য ধরেন।
অন্যদিকে একই ওয়ার্ডের শাহানা খাতুনেরও একই অভিযোগ করে বলেন, আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে মেম্বারের সহযোগী ওসমান কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নেয়। কিন্তু সে আমার কার্ড করে দেয়নি।
মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগী ওসমানের প্রতারণার স্বীকার গোপগ্রাম ইউনিয়নের আরও অনেক মানুষ।
আবার এদিকে গৃহবধূ জেসমীন বলেন, আমি ধার-দেনা করে ওসমান দর্জি কাছে তিন হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেই গর্ভকালীন কার্ড করে দেওয়া জন্যে। পরে তার কাছে কার্ডের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বার বার একই কথা বলে আসছে একজনের কাছে টাকা জমা দিয়েছি। সে তোড়জোড় করছে। মেম্বার তোমার কার্ড করে দেবে। কিন্তু এখন আমার বাচ্চার বয়স দুই বছর হয়ে গেল, কার্ডও পেলাম না টাকাও পেলাম না। মেম্বারের কাছে কতবার বলেছি সে বলে তোমার কার্ড হয়ে গেছে। তুমি টাকা পাবে কিন্তু টাকা আর পাই না।
গোপগ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের সাতপাখিয়া গ্রামের প্রায় বিশ জনের কাছ থেকে এ রকম টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক রাজ্জাক মেম্বার এবং ওসমান দর্জি। এসব প্রতারনার স্বীকার একই ওয়ার্ডের আরও তিন জনের সন্ধান পাওয়া যায়। তারা হলেন হাবিব মোল্লা, মো. আব্দুল ওহাব, বৃদ্ধা জহুরুন্নেছা ও আব্দুল কাদের।
এদিকে কাদেররে ঘটনা আরও ভয়াবহ গত ২৩-০৪-২০১৯ ইং তারিখে কাদেরের নামে খোকসা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার কর্তৃক বয়স্ক ভাতা পরিশোধ বহি ইস্যু করা হয়। এবং গত ১৮-০৯-২০১৯ ইং তারিখে পাশ বহি থেকে তিন হাজার টাকা উত্তোলন করা হয় সে টাকাও পাইনি বৃদ্ধ কাদের।
এ ঘটনার বিষয়ে গোপগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাথে মুঠোফোন কথা বলা হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। আর আমার এলাকায় এমন কিছু ঘটলেও কেউ মুখ খুলতে চাই না।
এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার রাজ্জাক মল্লিকের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমি কোন টাকা নিইনি তবে ওসমান কিছু টাকা নিলেও নিতে পারে সেটা আমি জানি না।
প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।