কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সরকারী ডিগ্রী কলেজের পরিসংখ্যান বিষয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কবরস্থান সহ ৪৪ জনকে বিবাদী করে মামলার প্রতিবাদে চাউলকুটা কবরস্থান কমিটি ও এলাকাবাসী বিক্ষোভে ফেটে পরে এবং অবিলম্বে মামলা উত্তোলন সহ কলেজ শিক্ষকের শাস্তি দাবী করেছে বলে জানা গেছে।
রোববার সরেজমিন গেলে ভুক্তভোগী কবরস্থান কমিটির সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম রবি জানান ১৯৭৪ সালে খোসকবলা দলিল মুলে কবরস্থান কমিটি বাটিকামারা মৌজার আরএস ৩০ নং দাগের ৪৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে। কিন্তু হটাৎ করেই কোর্টের সমন আসে বাটিকামারা মৌজার আরএস মোট ৪৭ টি দাগের জমি নিয়ে মোঃ আব্দুল মজিদ প্রফেসার তাদের কবরস্থান সহ ৪৪ জনকে বিবাদী করে জমি সংক্রান্ত মামলা করে। অথচ এই জমির আশেপাশে তার কোন জমি নাই। তিনি বলেন মজিদ প্রফেসার একজন ভূমিদস্যু তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। কবরস্থান কমিটির ক্যাশিয়ার সোহরাব হোসেন জানান মজিদ যখন ছোট তখন হানিফ বাঙালের নিকট থেকে কবরস্থানের জমি কেনা।
অপরদিকে আরেকজন ভুক্তভোগী গফুরমোল্লা বলেন (৬৫) শনিবার আমার নিজের নারিকেল গাছের বাগো কাটা নিয়ে মজিদ ও তার দুই ছেলে এসে আমাকে বেধড়ক মারপিট করলে আমি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ি এসময় এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে। এলাকাবাসী কবরস্থানের জমি নিয়ে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ও মজিদের বিরুদ্ধে মিছিল করে এবং অবিলম্বে মামলা তুলে নেবার দাবী জানায়।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মজিবুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি এবং উভয় পক্ষকে তাদের জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে।