রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাবের ছত্রছায়ায় কুষ্টিয়া শহরের কোর্ট স্টেশন, কলেজ পাড়া মোড়, মিলপাড়া, লালন শাহের আখড়া, লাহেনী বটতলা এলাকার আরও শত শত বিঘা জমি দখলের গল্প বলছেন সাধারণ মানুষ। যারা দখল করেছেন তা এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এর সঙ্গে ক্ষমতাসীন বিভিন্ন সংগঠনের কিছু বিতর্কিত নেতারাও রয়েছে। এসব নিয়ে তারা এখন ব্যস্ত। সারা শহরে হুলুস্থুল। শহরের এম এম এ ওয়াদুদ আলীর প্রায় ১’শত কোটি টাকার জমি জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। জমি জালিয়াতি চক্রে একজন রাজনৈতিক নেতার নাম আসায় এই নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। সাম্প্রতি সময়ে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। এঘটনা নিয়েও অনেকেই অনেক রকমভাবে বিচার বিশ্লেষণ করছেন। কেউ কেউ বলছেন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনার সাথে এর যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন। লোক মুখে নানান কথা শুনা যাচ্ছে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে জমি জালিয়াতির এঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতার নাম আসায় কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। তিনি বলেছেন,দলের কে কোন পর্যায়ের নেতা বা সাধারণ মানুষ, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। যারা অন্যায় করবে, তদন্তে দোষী হলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। কেউ ছাড় পাবে না এতে।’ নামপ্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামীলীগের কয়েকজন প্রবীণ নেতারা বলছে, শহরের বিভিন্ন এলাকার বিঘা বিঘা জমি দখল করেছে প্রভাবশালীরা। দলের তকমা লাগিয়ে তারা হয়েছেন এখন কোটিপতি। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। জমি জালিয়াতির এই বড় চক্রে কে আইনের আওতায় আনায় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি ও কুষ্টিয়ার পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, দীর্ঘদিন রাজনীতি করছি। ‘বিষয়টি দুঃখজনক। অনেকেই অনেক রকম কথা বলছে এটা আমিও শুনছি। তবে যে এমন কাজের সঙ্গে জড়িত থাকবে তার দায় তাকেই নিতে হবে। দল তার দায় নিবে না। জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা পরই এই নিয়েও নানান কথা শুনা যাচ্ছে। তবে আমার জানা মতে কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। তবে এমন কিছু হলে জানা যাবে।