কুষ্টিয়ার শেষ সীমানা মনোহরদিয়া ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের এক চায়ের দোকানদার কোন উপায় না পেয়ে মোবাইল নম্বর আমাকে রিং দিলো স্যার আমার ৫ জনের পরিবার আজ সারাদিন না খেয়ে আছি। ছোট ছেলে মেয়েগুলো ক্ষিধের জ্বালায় কাঁধছে। চায়ের দোকান খুলতে পারিনি তাই। আমি বললাম ঠিক আছে দেখছি। টেনশনে পড়ে গেলাম। এই রাতে তাও আবার সদর উপজেলার সবচেয়ে দূরের গ্রাম সেই রাধানগর। হঠাৎ মনে পড়ে গেলো গতকাল দৈনিক সময়ের দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক বললো, কুষ্টিয়ার সীমান্ত মহিষকুন্ডি গ্রামের ২৩ টি পরিবার ২ দিন না খেয়েছিলো। আমি জানার পর এসপি স্যারকে জানালাম। স্যারের নির্দেশে দৌলতপুর থানার ওসি তাদের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি মিলন উল্লাহ বললো, ভাই চৌড়হাস ক্যানালপাড়ার ৩ টি পরিবার অভুক্ত ছিলো। এসপি স্যারকে মোবাইলে জানানোর কিছুক্ষণ পরেই সেখানে রান্না খাবার পৌঁছে গেছে। ঐ অসহায় পরিবারের লোকজন তো রীতিমতো অবাক। আমি ভাবলাম এসপি মহোদয়কেই বলি। তাঁকে জানানোর সাথে সাথে তিনি ইবি থানার ওসির মাধ্যমে রাধানগরের সেই দূর্গম গ্রামে পৌঁছে গেলো খাদ্য সামগ্রী। আজ আমার মিসেস বললো তার এক বন্ধু জানিয়েছে মিলপাড়ার একটি মাদ্রাসায় ৫০ জন এতিম অভুক্ত আছে। আমি ভাবছি ৫০ জন সংখ্যাটি অনেক বেশী। কাকে বলা যায়। আমার মিসেস বললো এসপি স্যারকে বলো। আমি বললাম ৫০ জন। সে বললো এসপি স্যারকে বলেই দেখো না। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে এসপি স্যার এবং এসপি ভাবী নিজ হাতে বাসায় এতিমদের তৃপ্তি সহকারে খাওয়ায় ছিলেন। যথারীতি এসপি স্যারকে বিষয়টি জানালাম। এসপি স্যার বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ না করে বললেন আজই ব্যবস্থা করছি। পুলিশ সুপার মহোদয়ের পিতা- মাতা দু’জনেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা। যে কারনে উত্তরাধিকারসূত্রেই তিনি বড় মনের মানুষ। তাঁর হৃদয় আকাশের সমান আর সমুদ্রের মত গভীর অন্তর। আল্লাহ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হেফাজত করুন। এতিমদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন।