নারায়ণগঞ্জের তল্লা মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে কোনো সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি পাওয়া গেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছেন। বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, ডিপিডিসিসহ বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন যাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগের প্রমাণ মিলবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদ পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিস্ফোরণের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আহত ও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
এসময় ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় পুলিশের এসআই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি রক্ষণাবেক্ষণে মসজিদ কমিটির অবহেলা, বৈধ কিংবা অবৈধ গ্যাস লাইনের সংযোগ বা রক্ষণাবেক্ষণ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলা, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ অবহেলা মসজিদ নির্মাণের ত্রুটি-বিচ্যুতি সহ মোট সাতটি কারণ চিহ্নিত করে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার তদন্তে এসব অভিযোগের প্রমাণ কারও বিরুদ্ধে বা কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল আলম, জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।