আজ আলোচিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম লিপুর ৬ষ্ট মৃত্যু বার্ষিকী। ২০১৪ সালের ৩১ শে আগষ্ট কুষ্টিয়া শহরের রেনউইক মোড়ের বাসা থেকে তৌহিদুল ইসলাম লিপুর বাবা ওয়াহিদুল ইসলামের মামাতো ভাই জুহাইম খন্দকার শুভ ও শুভর বন্ধু রাকিবুল ইসলাম বাপ্পী লিপুকে অপহরন করে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। এক সময় টাকার সমঝোতাও হয়। কিন্তু লিপু তার চাচা শুভকে চিনে ফেলায় পরবর্তীতে সব ফাঁস হয়ে যেতে পারে এ আশংকায় নির্মম নিষ্ঠুর নৃশংস ভাবে লিপুকে হত্যা করে শুভ, বাপ্পী ও তাদের সহযোগীরা। ১ সেপ্টেম্বর হত্যার পরে লাশের চিহ্ন যেন না পাওয়া যায় সেজন্য তারা লাশের পেট কেটে ও দড়ির সাথে ইট বেঁধে লাশ পদ্মায় ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে অভিযুক্তরা । এদিকে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এটি এম মাহমুদুল হক ২০১৭ সালের ৮ই ডিসেম্বর দুইজনকে ফাঁসী,আট জনকে যাবজ্জীবন ও চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। পরবর্তীতে মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আসামীরা উচ্চ আদালতে আপিল করে যা রায় পাওয়ার জন্য এখনও অপেক্ষার প্রহর গুনছে পরিবার। এদিকে ঘটনার ৬ বছর পার হলেও এক মুহুর্তের জন্য লিপুকে ভুলতে পারিনি তার বাবা মা ও একমাত্র ছোটবোন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম লিপুর হতভাগ্য পরিবার এখন সন্তান হত্যার বিচারের অপেক্ষার প্রহর গুনছে। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে।