কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রঘধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সার ও ডিজেলের দাম কমিয়েছেন, বাড়িয়েছেন কৃষকের ধানের দাম। তাই আমাদের দেশের কৃষকরা আবারো নতুন করে আউশ আমন ধান চাষ করতে শুরু করেছেন।বর্মান সরকার আজ দেশকে কৃষি থেকে শিল্পায়নে নিয়ে যাচ্ছে।দেশে শিল্পায়নের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে।প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি সমৃদ্ধশালী উন্নত দেশে রুপান্তরিত করতে চেয়েছেন। ২০৪১ সাল নয় তার আগেই এদেশ সেই লে পৌছে যাবে। শনিবার (২২ আগষ্ট) বেলা ১২ টার সময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উদ্যোগে আউশ ধান কর্তন উৎসবে (ভার্সচ্যুয়াল) প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনছুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আউশ ধান ধান কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার কালাচাদপুর মাঠে কৃষকের আউশ ধান কর্তন উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচীব নাছিরুজ্জামান, মহাপরিচালক ড. আব্দুল মুহিত। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর কৃষি সম্প্রাসরণ অফিসার (ডিডি) স্বপন কুমার শাহ, মেহেরপুর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লভ ভট্টচার্য, কৃষক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, এদেশ হবে ুধা, দারিদ্র ও বৈশম্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধশালী ও শান্তির সোনার বাংলাদেশ। তার তনয়া শেখ হাসিনা ১২ বছর মতায় থেকে অর্থনীতির সকল েেত্র অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। যা সারা পৃথিবীতে প্রশংশিত হচ্ছে। সামাজিক উন্নয়ণ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন, পদ্মাসেতু, আইসিটি, রাস্তা-ঘাট, ফোর লেন রাস্তা, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিাসহ প্রতিটি েেত্র উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।দেশের উন্নয়নের সব চেয়ে বড় বাধা বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সে েেত্রও সাফল্য এনেছেন।২০৪১ সালের আগেই দেশকে একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশে রুপান্তরিত করাই বর্তমান সরকারের মুল ল।তিনি নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের মঙ্গাকবলিত এলাকার সেই মঙ্গা এখন আর নেই উল্লেখ করে বলেন, দেশের মানুষ আর আগের মত না খেয়ে থাকেনা। তারা দুবেলা দু মুঠো ভাত খেতে পায়। মন্ত্রী বলেছেন, কৃষিকে আধুনীকায়ন ও বানিজ্যকী করণ এখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বড় চ্যালেঞ্জ। রোদ বৃষ্টি সহ্য করে শরীরের ঘাম ঝরিয়ে যে কৃষক ফসল ফলাচ্ছে। তাদের সে ফসলের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত এবং কৃষক এবং তাদের ছেলে মেয়েরা যাতে লেখা পড়া শিথে উন্নত জীবন যাবন করতে পারে তার ব্যাবস্থা করাই হবে মুল ল। মেহেরপুর জেলাকে কৃষিতে সম্ভাবনার জেলা উল্লেখ করে মেহেরপুরের কৃষি পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সম্পৃক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের নির্দশ দেন।জেলার হিম সাগর আমকে ইউরোপীয়ান ও আমেরিকার বাজারে এবং সবজী পণ্যকে আমেরিকার বাজারে সম্পৃক্ত করার কৌশল গ্রহণের আহবান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের কৃষকদের জাগিয়ে তুলতে হবে। কৃষি এবং কৃষকদের প্রাধান্য দিতে হবে। মান্নীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছেন কৃষি ভিত্ত্বিক অর্থনীতির উপর।তিনি বলেছেন আমাদের এলাকার আশা আখাংকা, সম্ভাবনা ও স্বপ্নই কৃষিকে ঘীরে। তাই ডেল্টা প্লানিং এর আওতায় জেলার নদী, খাল খনন ও বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে জেলার কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের কাজ করা হবে। উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় এবছর ২৫৯৪ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষের লমাত্রা ধরা হলেও লমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ২০৮৩০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া রোপা আমন ধান চাষের লমাত্রা ২৫ হাজার ৮ শ হেক্টর জমিতে।