ঢাকা অফিস : পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার আমোশ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হত্যার ঘটনায় মামলার বাদীর পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত এনামুলের স্ত্রী শিমা (৩২) জানান, আসামী পক্ষের লোকজন ফোনে ও লোক মারফৎ আমার পরিবারকে দেখা নেবার হুমকি দিয়ে আসছে। তারা টাকার বিনিময়ে মামলা মিমাংসা করে, মামলা থেকে রক্ষা পাবে বলে হুমকি দেন। এমন কি প্রয়োজনে আসামী পক্ষের আহত ব্যক্তিকে হত্যা করে পাল্টা হত্যা মামলা করবে বলে ফোনে শিমার ভাই মোজামকে হুমকী দিয়েছে আসামী পক্ষে লোকজন। পাবনা এ্যাডওয়ার্ড বিশ^বিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র ও নিহত এনামুলের ছেলে হুমায়ন কবির বলেন, পুলিশ আমাদের খবর রাখলেও এ পর্যন্ত নামীয় আসামীদের আটক করতে পারেনি। আসামীরা নিজেদের মালামাল অন্যত্র হস্তান্তরের সময় মেয়র মিরাজুল ইসলাম তা নিজের দায়িত্বে নেন। এদিকে হত্যার ঘটনায় ১১ আগস্ট সাঁথিয়া থানায় মামলা হলে (মামলা নং ১৩) আসামীরা ঘর বাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। বাড়িতে অবস্থানরত মহিলারা তাদের পালনকৃত গরু ও আসবাবপত্র লুটে নেওয়ার আশংকা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে তারা। লুটপাটের আশংকায় আসামীরা লোক মারফেৎ প্রায় তিন কোটি টাকা মুল্যের নিজেদের গরু সাঁথিয়া পৌর মেয়রের জিম্মায় দেন। মেয়র মিরাজুল ইসলাম তাদের ১৫টি বাচ্চুরসহ ৪৫টি গরু বাড়িতে শ্রমিক দ্বারা দেখাশোনা করছেন। হত্যা মামলার প্রধান আসামী বাবলু মেয়ে সুলতানা খাতুন বলেন, মামলার পরে বাড়ির সবাই পালালে আমি গরু নিয়ে লুটপাটে আশংকা করি। পরে মেয়রকে ডেকে আমাদেরসহ অন্য আসামীদের গরু তার জিম্মায় দিয়ে দেই। গত শনিবার মেয়রের বাড়িতে গিয়ে আমাদের ৯টি গরু দেখে এসেছি। একটি মহল মেয়রকে দোষ দিতে এবং অন্য পক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে কতিপয় অসাধু সাংবাদিকদের দিয়ে মিডিয়ায় প্রচার করছে এবং আরও প্রচার করবে বলে বলে বেড়াচ্ছেন। সোমবার দুপুরে ইছামতিনিউজ২৪ এর একটি দল ঘটনাস্থল আমোশ গ্রামে গেলে দেখা যায় আসামীরা বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে। তাদের আত্বীয় স্বজনরা এসে বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। সাঁথিয়া পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক জানান, আসামীদের আত্বীয় স্বজনরা লুটপাটের ভয়ে তাদের রেখে যাওয়া গরু আমার জিম্মায় দেন। এলাকার পরিবেশ শান্ত হলে স্ব-স্ব ব্যক্তিকে তাদের গরু বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আসাদুজ্জামান জানান, থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে। এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। প্রকাশ উপজেলার আমোশ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ১ আগস্ট রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় গত ১১ আগস্ট মৃত তফিজ শেখের ছেলে আহত এনামুলের মৃত্যু হয়। ওই দিনই তার ভাই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাাঁথিয়া থানায় মামলা করেন।