আলমডাঙ্গায় বাড়ি থেকে গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তি আলমডাঙ্গার পৌর এলাকার মিয়াপাড়ার মজিবুল (২৫)। বুধবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দীর্ঘদিন মাদকের সাথে জড়িত থাকার কারণে সমালোচিত যুবদল নেতা ডালিমসহ তার অন্য সহযোগিরা পালিয়ে যান।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশ প্রতিদিন মাদকবিরোধী প্রচার-প্রচারণা ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। মাদকের মরণ ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা ও জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য আলমডাঙ্গা পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে মাদক বিক্রয় ও ক্রয়রোধে থানা-পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পৌর এলাকার মিয়াপাড়ায় রমরমা মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করছেন আলমডাঙ্গা উপজেলার সমালোচিত যুবদল নেতা ডালিম। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ বাড়িতে এবং ভ্রাম্যমাণভাবে ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে থাকেন।
গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের একটি দল গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে যুবদল নেতা ডালিমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে এবং ডালিম যে মাদক ব্যবসায়ী তার প্রমাণ পায়। এ অভিযানে অংশ নেন আলমডাঙ্গা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম, এসআই আমিনুল ইসলাম, এএসআই মহানন্দ ও এএসআই কামরুল।
অভিযানে যুবদল নেতা ডালিমের বাড়ি থেকে মাদক কিনে বের হওয়ার সময়, বাড়ির গেট থেকে মিয়াপাড়ার মজিবুলকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার শরীর তল্লাশি করে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে আটক মজিবুলের স্বীকারোক্তিতে ডালিমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এর আগেই টের পেয়ে সমালোচিত যুবদল নেতা ও মিয়াপাড়ার ইসমাইলের ছেলে ডালিম, কোর্টপাড়ার আফজাল, পলাশ ও ছাত্রদল নেতা রাশেদ পালিয়ে যান।
আটক হওয়া মজিবুল বলেন, ‘আমি যুবদল নেতা ডালিমের নিকট থেকে ৫ শ’ টাকার গাঁজা কিনেছি।’ ডালিম বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করেন বলেও আটক মজিবুল পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। এই মাদক ব্যবসার সাথে কে কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হবে। মাদকের সাথে কেউ জড়িত থাকলে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।