দেশে চীনের সিনোভেক কোম্পানির করোনাভাইরাসের টিকার শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হওয়া নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত রবিবার বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) আইসিডিডিআর,বিকে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার নৈতিক অনুমোদন দেয়। কিন্তু পাঁচ দিনে সরকারের পক্ষ থেকে ট্রায়াল শুরুর কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি; বরং এই ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বক্তব্য ঘিরে একধরনের ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বিএমআরসির অনুমতিপত্র পাওয়ার পরও চুপচাপ আছে আইসিডিডিআর,বি। গতকাল পর্যন্ত তারা এ নিয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি অনুমতিপত্র পাওয়ার পরও গতকাল পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ব্যাপারে চীনের সিনোভেক বায়োটেকের সঙ্গে আইসিডিডিআর,বির আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি হয়নি। অথচ এ সপ্তাহেই এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রায়াল সংশ্লিষ্ট সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া তারা আর কোনো পদক্ষেপ নেবে না। সিদ্ধান্ত যত দেরিতে আসবে, ট্রায়াল শুরু হতে তত দেরি হবে। এমনকি ট্রায়ালের আগে এটা নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা হলে ট্রায়াল থেকে চীনের ওই কোম্পানি সরে যেতে পারেও বলেও তিনি আশঙ্কা করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএমআরসিতে চিকিৎসা গবেষণার ব্যাপারে যেকোনো আবেদন এলে তার নৈতিক পয়েন্ট আছে কি না, মানব শরীরের জন্য ঠিক আছে কি না, শুধু সেটা দেখি। অন্য কোনো কিছু বিচার করি না। কে আবেদন করেছে, সেটা দেখি না। এখানে চীন বলে কথা নয়, এটা আমাদের দেশের আইসিডিডিআর,বি করেছে। তখন আমরা নৈতিক অনুমোদন দিই। তবে এটাই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর অনুমোদন নয়। অর্থাৎ মানবদেহে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা যায়, এটা ঠিক আছে, আমরা সেটার অনুমোদন দিয়েছি। এরপর সরকারের আরও দুই-তিনটা ধাপ আছে। তারা অনুমতি দিলেই এই ট্রায়াল শুরু হবে। গত রবিবার বিএমআরসি আইসিডিডিআর’বিকে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার অনুমোদন দেয়। সংস্থাটি পরীক্ষার প্রটোকল জমা দিয়েছিল। প্রটোকল অনুযায়ী, দেশের সাতটি হাসপাতালের মোট ২ হাজার ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর এই টিকার পরীক্ষা করা হবে। হাসপাতালগুলো হলো মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিট-১, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইউনিট-২ এবং ঢাকা মহানগর হাসপাতাল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চীনের সিনোভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার (ভ্যাকসিন) তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে, আগস্টেই আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করতে পারবে। শুরুর পর সর্বনিম্ন ছয় সপ্তাহ ও সর্বোচ্চ তিন মাস সময় লাগতে পারে পরীক্ষা শেষ হতে। পরীক্ষায় সফল হলে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে ট্রায়ালের অংশীদার দেশ হিসেবে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার থাকবে সবচেয়ে বেশি। অনুমোদন পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার প্রথম এ নিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান। তিনি একটি টেলিভিশনকে বলেন, বিএমআরসির অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার নেই। এটি দুই দেশের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। সচিবের এ বক্তব্যের পরদিন গত বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, চীনের টিকা দেশে প্রয়োগ হবে কি না কিংবা হলেও তা কবে নাগাদ হবে, সে ব্যাপারে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এক দিন আগে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, টিকার ট্রায়াল দুটি রাষ্ট্রের বিষয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় লাগবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব টিকার ট্রায়াল হচ্ছে, সরকার সেগুলোর দিকে নজর রাখছে। দেশের জন্য যা ভালো হবে, সরকার সে রকম সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবে। সচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরপরই এ নিয়ে কথা ওঠে বিএমআরসির মধ্যেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএমআরসির কিছু সদস্যদেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএমআরসি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে যেকোনো প্রটোকল যাচাই-বাছাই বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এরপর প্রটোকল ঠিক আছে কি না বা ওই প্রটোকল অনুসারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা যাবে কি না, সেটা জানিয়ে দেয় আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে। এখানে যেমন আইসিডিডিআর’বির আবেদন অনুসারে সে কাজটিই করা হয়েছে। চীনের কোনো কোম্পানিকে নয়, আইসিডিডিআর’বিকে অনাপত্তি দেওয়া হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য। এ ক্ষেত্রে আইসিডিডিআর’বি কোন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করবে বা না করবে, সেটি তাদের আর সরকারের অন্য সংস্থাগুলোর ব্যাপার। এ ব্যাপারে গতকাল ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, বিএমআরসি শুধু বিজ্ঞানের বিষয়টা দেখে। এ ছাড়া আর কোনো আইনগত ক্ষমতা নেই। আমরা কিন্তু বলতেও পারি না, এটা বাংলাদেশে ট্রায়াল দাও, দিনক্ষণও ঠিক করে দিতে পারি না। আমাদের ক্ষমতা শুধু একটাই এটা নৈতিকভাবে সমর্থন করে কি না, সেটা বলে দেওয়া। এরপর থেকেই বিব্রত অবস্থায় পড়ে আইসিডিডিআর’বি। আইসিডিডিআর’বির সঙ্গে কথা হয়েছে, সরকারের এমন একটি প্রতিষ্ঠানের এক গবেষক দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যটাই সঠিক। সাধারণ মানুষের জন্য যেটা ভালো, বাংলাদেশ সরকার সেটাই সিদ্ধান্ত নেবে। এ ব্যাপারে সরকার পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করবে। যেহেতু ওপরের সিদ্ধান্তের ব্যাপার, সে জন্য কোনো মন্তব্য করতেও রাজি না কেউ। তবে গতকাল পর্যন্ত এই ট্রায়াল নিয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। যেকোনো ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আমাদের দেশে হলে সুবিধা হবে যে ভ্যাকসিনটা আমাদের দেশের লোকজনের জন্য উপযুক্ত হবে কি না, সেটা ভালোভাবে বোঝা যাবে। তবে দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে একটা ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করাটা ঠিক হবে না। যত ভ্যাকসিন পাই, ততই ভালো। সব ধরনের চেষ্টা চালাতে হবে। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে এখন কারোরই এত কথা বলার দরকার নেই বলেও মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, যেকোনো কাজ শুরুর আগে সঠিক চিন্তাভাবনা করে সংশ্লিষ্টদেরই কথা বলা উচিত। তা না হলে জটিলতা বাড়ে। ইতিমধ্যে আইসিডিআর’বির গবেষণার প্রকোটলসংক্রান্ত কাগজপত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগ, স্বাস্থ্য সচিব (সেবা), পররাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সব অধিদপ্তর, সংস্থাকে পাঠিয়েছে বিএমআরসি। বিএমআরসি জানায়, যেহেতু এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, তাই সবার বোঝা উচিত কাজটা কী। যাতে কেউ কোনো কথা বলতে না পারে। এখানে কোনো দেশ বিষয় না। যারা স্টাডি করবে তারা আমাদের কাছে এ ধরনের ট্রায়ালের অনুমতি চায়। এটা চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণা। সবাই খেটে কাজ করেন। অনুমোদনের পরপরই আইসিডিডিআর’বিকে অনুমতিপত্র পাঠিয়েছে বিএমআরসি। অবশ্য স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানের ট্রায়ালের ব্যাপারে কথা বলাটা ঠিক হয়নি বলেও মনে করেন বিএমআরসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, মন্ত্রণালয়ে গবেষণার জন্য আলাদা বিভাগ ও কর্মকর্তা আছেন। তিনি কথা বলবেন। সচিবেরই এই পয়েন্ট তোলা উচিত হয়নি। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তবে সরকার যদি তাকে স্পোক পারসন হিসেবে বলে থাকে, তা হলে উনি বলতে পারেন। বিএমআরসি যদি এ ধরনের অনুমোদন দিতে না পারে, তা হলে সেটা মন্ত্রণালয় লিখিতভাবে দিক। বিএমআরসির এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ভারত, ইউরোপ ও আমেরিকায়ও টিকা নিয়ে স্টাডি হচ্ছে। কই সেগুলো নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন ওঠে না। যেহেতু এখন ভ্যাকসিন নিয়ে সবাই সচেতন, সে জন্যই এত কথা। তা না হলে তো অহরহই আমরা এসব অনুমতি দিয়ে যাচ্ছি। ট্রায়াল শুরুর আগেই এমন পরিস্থিতি তৈরির কারণ কী, জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু গবেষক বলেন, সম্ভবত একটি পক্ষ ভ্যাকসিন নিয়ে বাণিজ্য করতে চাইছে কিংবা ভু-রাজনৈতিক বিষয়ও থাকতে পারে। এক গবেষক বলেন, বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরি করার সক্ষমতা দুইটা ওষুধ কোম্পানির আছে। এখানে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা কারও নেই। এই ভ্যাকসিন যদি ট্রায়ালও করি, তাহলেও সেটা সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই আসবে না। বাংলাদেশ যেহেতু নিম্ন আয়ের দেশের মধ্যে, সেহেতু গ্লোবাল ভ্যাকসিন ইমিউনাইজেশন (গাভি) প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে পাবে। কিন্তু ভ্যাকসিনটা যদি প্রতি বছর দিতে হয়, তাহলে প্রথম বছরের জন্য বিনা মূল্যে পাবে। পরের বছরের জন্য কিনতে হবে। তখন হবে বাণিজ্য। এই গবেষক আরও বলেন, অক্সফোর্ড ও চীনের ভ্যাকসিন দুটোই ফেস-৩ ট্রায়ালে আছে। আজ যদি চীন না হয়ে অক্সফোর্ড বা আমেরিকার ভ্যাকসিন হতো, তাহলে কিন্তু এত অনুমতি নিয়ে কথা উঠত না। যেহেতু এটা চীনা ভ্যাকসিন, জিও পলিটিক্যাল ইস্যু এটার সঙ্গে জড়িত, সে জন্য এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। এটাও কিন্তু চীনের সরকারি ভ্যাকসিন না। এটা গ্লোবাল বেসরকারি কোম্পানি। যেহেতু চীনের, সে জন্য এত কথা হচ্ছে। এ ব্যাপারে হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটা শেষ ট্রায়ালের দিকে যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডে করবে। এদিকে জার্মান ও আমেরিকার আরও দুটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে যাচ্ছে। সম্ভবত আমাদের দেশে একটি মহল চাইছে না চীনা ভ্যাকসিনটা কম দামে আমাদের দেশে আসুক। এর সঙ্গে বোধ হয় বাণিজ্যিক দিকটাও আছে। কারণ ইতিমধ্যেই ইন্দোনেশিয়া চীনের ভ্যাকসিন ১০ কোটি তৈরি করা শুরু করেছে। এটা তো বৈজ্ঞানিক ব্যাপার, রাজনীতির ব্যাপার নয়। একটা ভ্যাকসিন বৈজ্ঞানিকভাবে সব পদ্ধতি মেনেই করা হয়। কাজ করবে কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহের কোনো জায়গা নেই। কারণ চীনের ভ্যাকসিনটা অনেক স্তর পার হয়ে এসেছে। সম্ভবত এটাকে নিয়ে কেউ কেউ বাণিজ্য করতে চায় বলেই এত কথা উঠছে। চীনের ভ্যাকসিনটাই আমাদের জন্য সহজলভ্য হবে উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, কারণ অক্সফোর্ড ইউরোপ ও আমেরিকাকে দিয়ে তারপর ভারতকে দেবে। ভারত নিজেদের চাহিদা পূরণ করে অন্য দেশকে দেবে। এক্সট্রা-জেনেকা নামে একটি আন্তর্জাতিক ওষুধ কোম্পানির ভারতে একটি শাখা আছে। তারা উৎপাদন করতে পারবে। ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, বিএমআরসির অনুমোদন দেওয়ার পরও আইসিডিডিআর’বি ট্রায়াল করার অনুমতি পেলে, সেখানে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। কারণ তারা ভলান্টিয়ার যারা হবে তাদেরই দেবে। এর সঙ্গে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক ভালো। চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিও আমাদের বলে গেছেন যে চীনের ভ্যাকসিন যদি সফল হয় বাংলাদেশ প্রথমেই পাবে। অতএব ট্রায়াল নিয়ে কোনো জটিলতা করা আমাদের জন্য বোকামি হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু ওষুধ কোম্পানি বাণিজ্যের কারণে চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ব্যাপারে অনাগ্রহ দেখাতে পারে। তবে চীনের ট্রায়ালটা হলে যেটা হতো তারা বিনা মূল্যে বা সাশ্রয়ী মূল্যে দেবে। অন্তত প্রাথমিকভাবে চার হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী বিনা মূল্যে পেতেন।