কুষ্টিয়া ও ভেড়ামারা পৌরসভার মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এ দুটি পৌর এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের পক্ষে সভার সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মৃণাল কান্তি দে। সভার সিদ্ধান্ত হয়, ২৫ জুন বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কুষ্টিয়া পৌরসভার মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন মুদি, কাঁচামাল, ঔষধ, মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল রিচার্জ, পশুখাদ্য, মৎস্যখাদ্য, সার-বীজ, কীটনাশকের দোকান ব্যতীত অন্য সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বিকাল ৪ টার মধ্যেই বন্ধ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিপণ্য ও রপ্তানীমুখী পন্য উৎপাদন, পরিবহন করা যাবে। বাকি সকল কর্মকান্ড বন্ধ থাকবে।. অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হতে পারবে না। এ সকল নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন- কুষ্টিয়া পৌরসভা রেডজোন হওয়ায় এখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন পুরোপুরি এবং কঠোরভাবে কার্যকর হবে। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ বলেন, ভেড়ামারা পৌরসভাতে কোভিড রোগী বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য স্থানীয়ভাবে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তমতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুদি দোকান ও বাজার বেলা বারটা পর্যন্ত খোলা রাখে যাবে। যেকোন মূল্যে কোভিড সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্য কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে লড়াই হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন ও পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুষ্টিয়াবাসীর জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে চলেছে তাঁরা। ইতিমধ্যে কুষ্টিয়ার যে সব এলাকা রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে, সে সব এলাকা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে এবারের লকডাউন বাঁশ বেধে রাস্তায় বেরিকেড দিচ্ছে, সেখানে লেখা রয়েছে রেড জোনভুক্ত হওয়ায় এই এলাকাটি লকডাউন করা হল- জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়া। সেখানে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য প্রশাসনের মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। গতকাল জরুরি সিদ্ধান্তে কুষ্টিয়ার শেখ রাসেল হাটশ হরিপুর সংযোগ সেতুসহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় বাঁশ বেধে লকডাউন করা হয়। এছাড়া মাইকিং করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়।