জমি বিক্রির আড়াই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং পারিবারিক কিছু কলহের জের ধরেই পরিচ্ছন্ন কর্মী সুন্দরী খাতুনকে গলায় শাড়ী পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর সুন্দরীর স্বামী রুস্তম আলীকেও মাথায় আঘাত করে সঙ্গাহীন অবস্থায় ফেলে রেখে ঘরে তালা বদ্ধ করে চলে যায় ঘাতকরা।
আজ শুক্রবার (১২ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চাঞ্চল্যকর ক্লুবিহীন হত্যাকান্ডকে প্রেস ব্রিফ করেন পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ হোসেন।এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার)শেখ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জুলফিকার আলী, এসআই অজয় কুমার কুন্ড উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সুন্দরী খাতুন হত্যা মামলার প্রধান আসামী ঘাতক জামিরুল ইসলামকে ১০ জুন দিবাগত রাতে ১০ টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর একটি টীম ওসি জুলফিকার আলীর গাংনী উপজেলার আকুবপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেন। তার কাছ থেকে একটি কুড়াল ও মোবাইল ফোন জব্দ করেন।এরপর ১১ জুন আদালতে নিলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হত্যাকান্ড নিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধী দেন। দুজন মিলে সুন্দরী খাতুনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। অন্য ঘাতককেও গ্রেফতার অভিযান চলছে বলে জানান এসপি এসএম মুরাদ হোসেন।
গত ২৫ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত কোনো এক সময় সুন্দরী খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং তার দ্বিতীয় স্বামী রুস্তম আলীকে আঘাত করে ফেলে রেখে ঘরের তালা বন্ধ করে চলে যায় ঘাতকরা।
স্থানীয়রা তালাবন্ধ ঘর থেকে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ২৮ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় সুন্দরী খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার স্বামী রুস্তম আলীকে আহত এবং অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
ঘাতক জামিরুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলার দৌলাতপুর উপজেলার শিতলাই গ্রামের আবু আফফানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা অবনতির অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও জানান প্রেস ব্রিফিং এ।
সুন্দরী খাতুন ও তার স্বামী রুস্তম আলী বামন্দী উপশহরে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়া বামন্দী বামন্দী শহরের সাইদুর রহমান টবুর বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তারা।