কুষ্টিয়া বটতৈল ১৩২/৩৩ কেভি পাওয়া গ্রিড উপকেন্দ্রে সচল করতে নতুন মাস্টার ট্রান্সফরমার আনা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় কুষ্টিয়া বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটিতে। ফলে বিদ্যৎ বিপর্যয় দেখা দেয় জেলার পুরো বিদ্যুৎ পরিষেবাতে। টানা দুদিন অন্ধকারে ডুবে থাকে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) কয়েকলক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহক। এর ফলে মানুষের জীবন যাপনে দেখা দেয় স্থবিরতা।
পরবর্তী সময়ে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ এনে জেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালায় বিদ্যুৎ বিভাগ। এতেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিস্থিতির। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে আনা হয়েছে মাস্টারর ট্রান্সফরমার এই ট্রান্সফরমার সংযোগ করা গেলে কুষ্টিয়া জেলার বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
জেলা বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২০ মে) রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর বটতৈলে আম্পান ঝড় চলাকালীন উপকেন্দ্রে হঠাৎ বিকট শব্দে আগুন লেগে যায়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটির কয়েকটি ট্রান্সফরমার পুড়ে অকেজো হয়ে যায় সাথে সাথে মাস্টার ট্রান্সফরমারেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। আগুন লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) কয়েক লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন।
এর পর বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল থেকে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো), পিজিসি, ওয়েস্ট জোনসহ দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী ও বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা সেখানে আসেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) কুষ্টিয়া নির্বাহী প্রকৌশলী প্রণব দেবনাথসহ চার সদদ্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখতে ট্রান্সফরমার মেরামত ও কিছু যন্ত্রাংশ পরিবর্তনের জন্য যন্ত্রাংশ ও প্রশিক্ষিত কর্মী কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে যন্ত্রাংশ ও শ্রমিক আনা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মে) সকাল ৭টা থেকে ৬০ জন শ্রমিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সচল করতে কাজ শুরু করে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়াসহ চার জেলার দায়িত্বে থাকা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি সচল করতে পুরোদমে কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে রবিবারের (২৪ মে) মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।