দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেড় মাস পেরোলেও এখনো রোগটির চিকিৎসায় সঠিক সমন্বয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট এখনো বিদ্যমান।
তবে শুধু দেশেই নয়, করোনার কারণে বিশ্বজুড়েই সংকট দেখা দিয়েছে চিকিৎসা সামগ্রীর। জোগান ঠিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছে উন্নত দেশগুলো। বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিইর।
পাশাপাশি চাহিদা রয়েছে গাউন, মাস্ক, ভেন্টিলেটর এবং পরীক্ষা সরঞ্জামেরও। পিপিইর চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামোগত দুর্বলতাও দিন দিন আরো প্রকাশ্য হচ্ছে।
করোনা পরীক্ষায় এ খাত শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হবে, বিশেষজ্ঞরা এখনই তা না বললেও নানা কারণে তাদের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার শেষ নেই। বিদ্যমান অপ্রতুল অবকাঠামোর সঙ্গে দক্ষ জনবল ও চিকিৎসা উপকরণের অভাব প্রকট হয়ে উঠছে।
করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় অতি দরকারি কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্র (ভেন্টিলেটর) ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যার সংখ্যাও দেশে অতি সীমিত পর্যায়ে। ঢাকা ছাড়া দেশের অন্য কোনো জেলার সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের সুবিধা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবাদাতা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পিপিই (হ্যান্ড গ্লাভস, সার্জিক্যাল মাস্ক, গাউন, চমশা, সু-কভার ও জীবাণুনাশক) প্রয়োজন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন করোনা ভাইরাস বহনকারীর দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ ও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা যারা করবেন তাদেরও পিপিই লাগবে।
কাজের ধরন অনুযায়ী একেকজনের পিপিই একেক রকমের হয়ে থাকে। পিপিই সরবরাহের ঘাটতি হলে চিকিৎসাসেবায় ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এছাড়া আইসিইউ বেড ও আইসিইউ পরিচালনা করার জন্য রয়েছে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক-নার্স সংকট।
ভেন্টিলেটর, ভেন্টিলেটরের সঙ্গে পেসেন্ট মনিটর, পালস অক্সিমেটর, এবিজি মেশিন উইথ গ্লুকোজ অ্যান্ড ল্যাকটেটর, ডিফেব্রিলেটর এক্সটারনালের ঘাটতি রয়েছে। এর বাইরে ভেন্টিলেটর কার্যকর করতে ১২ চ্যানেলের ইসিজি মেশিন, পোর্টেবল ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউর তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ৫ টনের এসি, ডিহিউমিডিফায়ার ২৫এল ইত্যাদিরও ঘাটতি আছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্সিজেনের অভাব এবং উল্লিখিত যন্ত্রপাতিগুলোর যেকোনো একটির অভাবে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাদের মতে, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাওয়ার পরও এবং প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার দেড় মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও অতি প্রয়োজনীয় এসব চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অভাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত প্রয়োজনীয় মেডিকেল সামগ্রীর ঘাটতি দূর করে মানসম্মত সেবাদান নিশ্চিত করতে না পারলে করোনায় মৃত্যুর মিছিল রোধ করা সম্ভব নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় বলা হয়, চিকিৎসক, নার্স এবং সেবাদানকারী কর্মীরা অবশ্যই করোনা রোগীকে সেবা দেয়ার পর তাদের গ্লাভস ও অ্যাপ্রোন খুলে ফেলবেন। আর মাস্কের মতো জিনিসগুলো শিফট শেষ করে পাল্টানো যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিকিৎসক-নার্সদের সুরক্ষায় পিপিই সরবরাহ জরুরি। করোনা প্রতিরোধে এখনো কোনো ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার না হওয়ায় এ রোগে আক্রান্তরা এমনিতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তার ওপর যদি মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাওয়া না যায়, তাহলে তাদের অবস্থা কেমন হতে পারে, তা কল্পনা করাও কঠিন।
অথচ দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকলেও কিডনি, হার্টসহ জটিল রোগীদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি। সরকার করোনা চিকিৎসার জন্য যেসব হাসপাতালকে ডেডিকেটেড হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেগুলোর চিকিৎসার মান সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন রোগীরা।
তারা জানান, আপনজন দূরে, সামাজিক দূরত্বের মধ্যে একাকী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তার ওপর যদি মানসম্মত সেবা ও প্রয়োজনীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতির অভাবের মুখে পড়তে হয় এরচেয়ে পরিতাপের বিষয় আর কী হতে পারে!
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও চিকিৎসাকালীন তাদের যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন, তা শুনলেও শিউরে উঠতে হচ্ছে সুস্থ মানুষকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মৃত রোগীর লাশ ওয়ার্ডেই পড়ে থাকছে। তার পাশেই বসে চিকিৎসার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন আক্রান্ত অন্য রোগীরা।
সূত্র জানায়, সময়মতো ডাক্তার না আসা, নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের রোগীকে এড়িয়ে চলা ইত্যাদি নানা অব্যবস্থাপনা রয়েছে। দেশে যখন করোনা রোগী পর্যায়ক্রমে বাড়ছে, তখন জরুরি ভিত্তিতে এসব সমস্যার সমাধান যে দরকার, তাতে সন্দেহ নেই। এটা সত্য, করোনা ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা; সেজন্য চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীরা দূরত্ব বজায় রাখবেন, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিয়ে রোগী দেখবেন; কিন্তু তাই বলে রোগীকে অবহেলা ও সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়া মেনে নেয়ার মতো বিষয় নয়। রোগীর চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী দ্বিগুণেরও বেশি দরকার। কারণ সব ধরনের জটিল করোনা রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয়। এমনকি একজন রোগীর দৈনিক তিন থেকে চারটি সিলিন্ডারও লাগে। সে হিসাবে ঘাটতি অনেক বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে কেউ কেউ দেশে অন্তত এক কোটি ৬০ লাখ (১০ শতাংশ) মানুষের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন। মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের অর্ধেক (সাড়ে ৮ লাখ) আক্রান্ত হলেও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়ার কোনো সক্ষমতা থাকবে না বলে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকারের সময় গত ১১ বছরে স্বাস্থ্য খাত অন্য কয়েকটি খাতের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারেনি। গত ১১ বছরে সরকার নতুন চিকিৎসাকেন্দ্র ও বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের পাশাপাশি সারাদেশের জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যার সংখ্যা বাড়ানোসহ রেকর্ডসংখ্যক চিকিৎসক ও সেবিকা নিয়োগ দিলেও স্বাস্থ্য খাত প্রয়োজনের তুলনায় এখনো পিছিয়ে আছে।
গত প্রায় ১৫ বছর ধরে এ খাতে মোট বাজেটের তুলনায় বরাদ্দ কমছে। মোট বাজেটের মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ এ খাতের জন্য বরাদ্দ থাকছে। দেশের স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির অন্তত ৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি থাকলেও গত অর্থবছরের বাজেটে হয়েছে ১ শতাংশেরও কম।
অভিযোগ রয়েছে, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ধেয়ে এলেও স্বাস্থ্য খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে চরম হতাশার বার্তা দিচ্ছে। প্রতিবছর যে বরাদ্দ স্বাস্থ্য খাতের জন্য সাধারণত থাকে, এরও যথাযথও বাস্তবায়ন অপচয়, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে হয় না বলেও ব্যাপক অভিযোগ আছে। ধারাবাহিকভাবে অনিয়ম চলতে থাকায় প্রত্যাশিত উন্নয়ন না হওয়ার কারণেও আজকের করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতের নানা বেহাল দিকের কথা প্রকাশ হয়ে পড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সারাদেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট চার হাজার ৫১৫টি ‘আইসোলেশন’ শয্যা প্রস্তুত আছে। শুধু ঢাকাতেই প্রস্তুত এক হাজার ৫০টি। ঢাকার মোট পাঁচটি হাসপাতালে এ ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে। এ পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২৯টি ভেন্টিলেশন সুবিধা আছে। করোনা রোগীর চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে কোনো আইসোলেশন ইউনিটে কোনো ধরনের ভেন্টিলেশন সুবিধা দেয়া হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মান অনুযায়ী, কোনো দেশের হাসপাতালে রোগীর জন্য যত শয্যা থাকবে, সেগুলোর মধ্যে ১০ শতাংশ আইসিইউ থাকতে হয়। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোয় সব মিলিয়ে রোগীর শয্যা রয়েছে ৩১ হাজার ২২০টি।
এ অনুযায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর থাকার কথা সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকারি সব হাসপাতাল মিলিয়ে বর্তমানে আইসিইউ আছে মাত্র ২২১টি। সব আইসিইউতে আবার ভেন্টিলেশনের সুবিধা নেই। জেলা পর্যায়ের ১৮টি সরকারি হাসপাতালে আইসিইউর কোনো ইউনিটই নেই।
এরই মধ্যে দেশে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসাকর্মীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের ৭ শতাংশের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। এ অবস্থাকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকরা। আর দেশের বিশিষ্টজনরা মনে করছেন, স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক অব্যবস্থাপনা আরো প্রকট হয়ে উঠছে বিশেষ এ সময়ে। এ অবস্থায় দরকার নতুন পরিকল্পনার। করোনা চিকিৎসার এমন অব্যবস্থাপনায় উদ্বিগ্ন দেশের চিকিৎসকরা। মারাও গেছেন কয়েকজন।
একাধিক সরকারি বিশেষায়িত ও সাধারণ হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, সরকারের উচিত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা। করোনায় এসব হাসপাতাল এমন মহামারীর সময় সাধারণ রোগীদের কিভাবে চিকিৎসা দেবে, সেটা নির্ধারণ করা। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা ও কাঠামো গড়ে তোলা। তা না হলে করোনা চিকিৎসায় বিপর্যয় নেমে আসবে। তাছাড়া দেশের সব হাসপাতালে পিপিই সরবরাহ করা হয়নি, যা সরবরাহ করা হয়েছে তাও চাহিদার তুলনায় কম। আবার যেসব পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের নয়।
টিআইবির ন্যায়পাল অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ খাতটি আগে থেকেই দুর্বল ছিল। এখন আরো দুর্বল হয়েছে। বিশাল সংখ্যায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। তার মানে এ সম্মুখসারির যোদ্ধাদের যথাযথ সুরক্ষা দিতে পারছি না। এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোর সদুত্তরের ওপর আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই মজুদ আছে। প্রতিদিন পিপিই ব্যবহার হচ্ছে এবং প্রতিদিনই আনা হচ্ছে। আমাদের সিএমএসডিতে পিপিই মজুদ রয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে এগুলো পাঠানো হচ্ছে। কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পেয়ে না থাকলে সিএমএসডি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। যারা হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাসেবা দেবেন তাদের সুরক্ষায় হ্যান্ডগ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সার্জিক্যাল মাস্ক, কম্বো মাস্ক, আই প্রটেক্টর, অ্যাপ্রোন ও গাউন পাঠানো হয়েছে।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ বলেন, ‘রোগ যদি প্রতিরোধ করা না যায়, তাহলে ভ্যাকসিন আসার আগে রোগটা কিভাবে চলে যাবে! এই মডেলিংয়ের ওপর নির্ভর করে আমাদের দেশ থেকে করোনা চলে যাবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এই বিষয়টিতে খেয়াল না রাখলে জনসাধারণ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক বেনজির আহমেদ মনে করেন, প্রতিটি রোগীকে কোথায় ও কিভাবে চিকিৎসা দেয়া হবে তা নিয়ে পরিকল্পনার দরকার ছিল। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অথবা বেশি সংক্রমিত এলাকায় একইসঙ্গে চিকিৎসা দেয়ার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেয়া যেত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৫০০ ভেন্টিলেটর থাকলেও সব স্থাপিত হয়নি। আর বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে ৭০০ ভেন্টিলেটর। এছাড়া আমদানি পর্যায়ে থাকা আরো ৩০০ ভেন্টিলেটর আসতে সময় লাগবে। কিন্তু করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য কতগুলো ভেন্টিলেটর রাখা হয়েছে সে তথ্য দেননি মন্ত্রী।