পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের (বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) সদস্যভূক্তির রশিদ কুষ্টিয়া পৌর যাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য প্রদান করেছেন মোঃ সামছুল হক নামের একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তিনি গতকাল দুপুরে কুষ্টিয়া পৌর মেয়রের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মেয়র আনোয়ার আলীর নিকট ফ্রেমে বাঁধানো এ রশিদটি প্রদান করেন।
মোঃ সামছুল হক বর্তমানে কুষ্টিয়া জজ কোর্টে আইন পেশায় রয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় সি/১০ হাউজিং এসেস্টের বাসিন্দা। মোঃ সামছুল হক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মরহুম আব্দুল বারী এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বর্তমানে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র, বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা জননেতা আনোয়ার আলী। মোঃ সামছুল হক কুষ্টিয়া কলেজে (বর্তমানে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ) কলা বিভাগে ২য় বর্ষে অধ্যায়নকালে ১৯৬৬ সালের ১১ আগস্ট পঁচিশ পয়সার বিনিময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলীর স্বাক্ষরিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সদস্যভূক্তির রশিদ গ্রহণ করেন।
তাঁর নিকট মুল্যবান এ রশিদটি তিনি দীর্ঘদিন নিজ সংগ্রহে রেখেছিলেন। বর্তমান প্রজন্মের জন্য তিনি রশিদটি ফ্রেমে বাঁধায় করে কুষ্টিয়া পৌর যাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য প্রদান করেন।
এ বিষয়ে মোঃ সামছুল হক বলেন, এ রশিদটি আমর নিকট অনেক মুল্যবান। আমি দীর্ঘদিন নিজ সংগ্রহে রেখেছিলাম। আমরা সংগঠনের নিয়ম-নীতি মেনে ছাত্র রাজনীতি করতাম। তিনি বলেন, আর কয়দিনই বা বাঁচবো। আগামী প্রজন্মের জন্য এই রশিদটি আমি কুষ্টিয়া পৌর যাদুঘরে প্রদান করলাম।
এ প্রসঙ্গে আনোয়ার আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ একটি আদর্শিক সংগঠন। আমরা সে সময় সংগঠনের সকল নিয়ম-নীতি মেনে চলতাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে সংগঠনের নিয়ম-নীতি অনেকাংশে মেনে চলা হয় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে পূর্বের ন্যায় সংগঠনের সকল নিয়ম-নীতি মেনে চলা প্রয়োজন।